রবিবার , ১২ জুন ২০২২ | ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. চিকিৎসা
  5. জবস
  6. বিনোদন
  7. বিশেষ প্রতিবেদন
  8. ভিন্ন আয়োজন
  9. শিক্ষা
  10. সারাদেশ

দেশের অগ্রগতিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের গাত্রদাহ হয়: মোস্তাফা জব্বার

প্রতিবেদক
TheDhakaNews
জুন ১২, ২০২২ ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতি স্বাধীনতাবিরোধীদের গাত্রদাহ হয়ে উঠেছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এ কাজে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হাতিয়ার করছে। এ অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

মন্ত্রী শনিবার (১১ জুন) ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ও প্রকৃত অপরাধী’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে, ডিজিটাল অপরাধও তত বাড়বে। ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অপরিহার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ রোধে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করে স্বার্থান্বেষী মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করে আসছে। অতীতে এ ধরনের অনেক ঘটনা এ দেশে ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্র, সমাজ, আইনবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য পেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। আমরা কোনোভাবেই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতি দুর্বৃত্তদের হাতে যেতে দেবো না।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস বল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ প্রমুখ।

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি আসিফ মুনীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মারুফ রসুল।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভিকটিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসরাজ দাস বলেন, ‘আমি একজন নিরীহ মৎস্যজীবী। জলাশয় থেকে মাছ আহরণ করে বিক্রি করি। যা আয় হয়, তা দিয়ে বৃদ্ধা মাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোমতে জীবনধারণ করি। মিথ্যা অভিযোগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়েছি। এরপর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে মামলার ঘানি টানতে টানতে নিঃস্ব।’

এ সম্মেলনে হৃদয় মণ্ডল, ঝুমন দাশ, রুমা সরকারসহ ভুক্তভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সর্বশেষ - অন্যান্য