হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে পরিবেশের প্রভাব

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে পরিবেশের প্রভাব (Environment influencing human resource management): ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর দেশের অর্থানৈতিক প্রবৃদ্ধির হার, শিক্ষা পরিকল্পনা, পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ও যোগান প্রভৃতি উপাদানসমূহের প্রভাব পরিদৃষ্ট হয়। এসব উপকরণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ওপর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাই হিউম্যান রিসোর্স পরিকল্পনাবিদদের এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।’

প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ যে-সকল উপাদান দ্বারা পরিবেষ্টিত সে-সব উপাদান তাদের কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে, যেগুলোর সমন্বয়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের পরিবেশ গড়ে উঠে। এ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মানব-শক্তির কর্মপ্রবাহ ও মনোভাব পরিবেশের কতিপয় উপাদান দ্বারা প্রভাবিত।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে সংজ্ঞা দিতে গিয়ে G.R. Terry & Franklin বলেন, “Both the manager’s philosophy and the application of the management process are affected by environmental factors, which condition, constrain and influence managerial decisions arid actions.” অর্থাৎ, ব্যবস্থাপকের দর্শন এবং ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রয়োগ উভয়ই পরিবেশগত উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়, যা ব্যবস্থাপকীয় সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমে শর্তারোপ, বাধার সৃষ্টি এবং প্রভাব বিস্তার করে।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে পরিবেশের প্রভাব

ব্যবসায় উদ্যোগ পর্যায়ে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে দুই ধরনের পরিবেশগত উপাদান বিবেচনা করতে হয়। এগুলো হলো- অভ্যন্তরীণ পরিবেশের উপাদান এবং বাহ্যিক পরিবেশের উপাদান।

অভ্যন্তরীণ পরিবেশের প্রভাব (Internal environmental influence)

প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে। পরিবেশের অভ্যন্তরীণ উপাদানসমূহ সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করে। এগুলো হলো- প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য, কার্যাবলি, সংগঠন কাঠামো, কর্মীদের প্রকারভেদ, মানব সম্পদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা, পুরস্কৃতকরণ পদ্ধতি এবং মানব সম্পদ নীতি।

১। প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য (Organizational goals): হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য সর্বাধিক প্রভাব বিস্ত ার করে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মানব সম্পদের চাহিদা নির্ধারণ, সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ উন্নয়ন, সংরক্ষণ প্রভৃতি পরিচালিত হয়। আর এ কারণেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হয়।

২। কার্যসমূহ (Tasks): একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদিত হয়। কাজের এরূপ বিভিন্নতার কারণে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টও প্রভাবিত হতে পারে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের কার্যের প্রকৃতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের স্বরূপ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কেননা আজকাল জনশক্তিকে সামাজিক পুঁজি বা মানব পুঁজি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এতে শ্রমজীবী জনগণের ক্ষমতায়নের প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে। সুতরাং, সৃজনশীলতা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতা গঠনের নিমিত্তে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে।

৩। সংগঠন কাঠামো (Organization structure): প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো এবং সংগঠনের প্রকৃতি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করে। এ কাঠামো যত জটিল হবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে ততবেশি সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংগঠন কাঠামোর ভিত্তিতে রচিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা এ কাঠামোর ওপর নির্ভর করে সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক সময়ে সংগ্রহপূর্বক সঠিক কাজে নিয়োগ করার ওপর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের সফলতা নির্ভর করে। তবে সংগঠন কাঠামোর আকার-আয়তন বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।

৪। কর্মীদের প্রকারভেদ (Classification of workers): মানুষ যে-সকল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে অন্য কাউকে তার থেকে আলাদা করে সেগুলো বৈচিত্র্য হিসেবে বিবেচিত। কর্মীদের মধ্যে এরূপ প্রকারভেদের উপাদানসমূহ হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স, সম্প্রদায়, মূল্যবোধ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য। অর্ধশতাব্দী পূর্বে শ্রমশক্তিতে এত বৈচিত্র্য ছিল না।

কিন্তু যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত কারণে বিশ্ব ছোট হয়ে আসায় এসব পার্থক্য পরিদৃষ্ট হচ্ছে। মহিলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও বর্তমানে শ্রমশক্তিতে বিশেষ স্থান দখল করছে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দক্ষতা এবং অদক্ষতার বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হয়। দক্ষতার সাথে মানব সম্পদ নিয়োগ, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ওপর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।

৫। মানব সম্পদের আভ্যন্তরীণ চাহিদা (Demand of human resources within internal): প্রতিষ্ঠানের ভিতরে মানব সম্পদের চাহিদা ও সরবরাহ হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা নির্ধারণ করে চাহিদা অনুযায়ী মানব সম্পদ প্রাপ্তির সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিত করা আবশ্যক। কেননা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে চাহিদা নিরূপণ ও সম্ভাব্য সরবরাহের ক্ষেত্র, নির্ধারণ নিঃসন্দেহে প্রভাবিত করে।

৬। পুরস্কৃতকরণ পদ্ধতি (Reward system): শ্রমিক-কর্মীরা শ্রম প্রদানের বিনিময়ে যে আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে, তাকে পুরস্কৃতকরণ বলে। বেতন, মজুরি, বোনাস, চিকিৎসা ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা বা বিনামূল্যে বাসস্থানের সুবিধা প্রভৃতি পুরস্কৃতকরণের পর্যায়ভুক্ত।

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে ন্যায্য ও নিরপেক্ষভাবে এবং সমতার ভিত্তিতে এ পুরস্কৃতকরণ কার্যক্রম চালাতে হবে। শ্রমিকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, কাজ ও দায়িত্বের প্রকৃতি ইত্যাদি এ পুরস্কৃতকরণ পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে।

৭। মানব সম্পদ নীতি (Human resource policy): হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার হাতিয়ার হিসেবে মানব সম্পদ নীতির প্রভাব যথেষ্ট। এ নীতির কার্যকর প্রয়োগ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠানে, মানব সম্পদের কাম্য ব্যবহারের লক্ষ্যে মানব সম্পদ নীতির যথাযথ প্রণয়ন এবং এর ব্যবহার হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত হরে।

বাহ্যিক পরিবেশের প্রভাব (External environmental Influence)

কতিপয় বাহ্যিক পরিবেশের উপাদান হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করে। এ ধরনের উপাদানগুলো নিম্নরূপ-

১। সরকারি প্রভাব (Government influence): সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করে। ইতঃপূর্বে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে পারতো। দেশীয় শিল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। দেশের রাজস্বনীতি, মুদ্রানীতি, ঋণনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য নীতি প্রভৃতি পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের প্রভাব কমে যাচ্ছে।

ফলে শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে এখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হচ্ছে। শিল্পোন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোও এখন বিমান পরিবহন, ব্যাংক বিমা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, সড়ক পরিবহন প্রভৃতি জনকল্যাণমূলক ও সেবাখাত থেকে রাষ্ট্রীয় খাতকে গুটিয়ে নিচ্ছে এবং বেসরকারি উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি আনুকূল্যবিহীন অবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হয়ে অস্তিত্ব রক্ষায় লড়াই করতে হচ্ছে। ফলে টিকে থাকতে ও উন্নতির লক্ষ্যে বাড়াতে হচ্ছে দক্ষতা, সেবা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব।

২।সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ (Socio-cultural environment): হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপাদানসমূহ যথেষ্টভাবে প্রভাবিত করে। সাধারণত মূল্যবোধ, নৈতিকতা, রীতিনীতি, রুচি, পছন্দ, চাহিদা, ধর্মীয় প্রভাব, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি মানুষের কর্মস্পৃহাকে প্রভাবিত করে।

তাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রতিষ্ঠানের মানবশক্তির এসব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং রীতিনীতি বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

৩। আইনগত পরিবেশ (Legal environment): মানব সম্পদসংক্রান্ত দেশে বিদ্যমান সরকারি বিধিবিধান ও বিভিন্ন আইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রভাবিত করে। দেশের শ্রম ও শিল্পসম্পর্ক আইন বিশেষ করে শিল্পবিরোধ, ট্রেড ইউনিয়ন, যৌথ দরকষাকষিসংক্রান্ত বিধিবিধান হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে পূর্ণ সচেতন করে তোলে। দেশে বিদ্যমান আইনের বাধ্যবাধকতার প্রশ্নটি এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসব আইনের মধ্যে রয়েছে- চুক্তি আইন, কোম্পানি আইন, কারখানা আইন, পণ্য বিক্রয় আইন, পরিবহন আইন, অংশীদারী আইন প্রভৃতি। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব আইনের বিধিবিধান মেনে ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।

৪। রাজনৈতিক পরিবেশ (Political environment): রাজনৈতিক পরিবেশের নিয়ামকসমূহ হলো- দেশের আইনশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক দলসমূহের অবস্থা, ধর্মঘট, হরতাল, অবরোধ, তালাবন্ধ প্রভৃতি। এগুলো হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। আর এ কারণেই দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিচার-বিশ্লেষণ ও সঠিক পূর্বানুমান করেই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রতিষ্ঠানের মানবশক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

৫। অর্থনৈতিক পরিবেশ (Economic environment): দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পদ্ধতি ও অবস্থা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে। এ প্রসঙ্গে RW Griffin বলেন, ‘Economic environment is the overall health of the economic system in which the organisation operates,’ অর্থাৎ, যে অবস্থার মধ্যে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার অর্থনৈতিক পদ্ধতির সার্বিক অবস্থাকে অর্থনৈতিক পরিবেশ বলে।

সাধারণত বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, খরা, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি হিউম্যান রিসোর্সের চাহিদা ও সরবরাহকে প্রভাবিত করে। আর এ কারণেই প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রমের সুষ্ঠু পরিচালনায় দেশের আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মানব সম্পদের কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

৬। প্রযুক্তিগত পরিবেশ (Technological environment): আধুনিক যুগের বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠানের কারিগরি ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে। অর্থনীতিকে সার্বজনীন সুফলকামী করতে হলে সুশিক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। আর এ প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিই প্রধান সহায়ক।

সাম্প্রতিক কালে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব মানব সম্পদ ব্যবহারের নবদিগন্তের সূচনা করছে। এখন প্রয়োজন হলো যুগের চাহিদা অনুযায়ী মানব সম্পদ সৃষ্টি করা। আর এ কারণেই আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, ফ্যাক্স, ই-মেইল এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বিষয়ে দক্ষ করে তোলা আজকের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের জন্য অপরিহার্য।

বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এবং প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জনা প্রতিষ্ঠানকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করা অপরিহার্য। কেননা মানবশক্তির প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের অপচয় হ্রাস করে অধিক মুনাফা অর্জনের পথকে সুগম করে তোলে।

উপরি-উক্ত আলোচনার জের ধরে বলা যায়, পরিবেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের কার্যক্রম। পরিচালনায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।


আরও দেখুন-

Leave a Comment